সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে না পেয়ে আসামিপ্রাপ্ত সাজাকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ!
বোকাবেদক: ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি ভোর ৫টা ৩০ ঘটিকায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার কৈয়ারা দীঘি সংলগ্ন এলাকা থেকে এক ছাগল পালিয়ে যায় বলে বোকাবেদককে নিশ্চিত করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এক সূত্র। এই ঘটনার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেই ছাগল পালানোর খবর জানা যাচ্ছে। স্থানীয় সমাজ বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এইভাবে দেশে ছাগল পালাতে থাকলে বাড়বে সামাজিক অসঙ্গতি। ছাগলে ছাগলে হারাবে ভাতৃত্ববোধ আর সামাজিক দায়িত্বপালনে অপরাগতা। ইতিমধ্যে দেশে ধইঞ্চা ঘাসের ছেয়ে গেছে। বেড়ে গেছে ঘাস।
অপরদিকে অধিকারকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাগল নিয়ে ব্যামোচ্ছে। রাতারগুলের অধিকারকর্মী আতার আলী জানান, আমরা এই পানি-পুনির মধ্যে থাইকাও ছাগলের ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখি। অথচ সরকার ছাগল নিয়া মোটেও চিন্তিত না। আমরা এমন নিষ্ঠুর অছাগলিক সরকারের আন্ডারে আর থাকতে চাইনা। অল বাংলা ছাগল অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে সামনের কোরবানি ঈদের পর ছাগল অধিকার রক্ষা নিয়ে দেশের ২০টি বিরোধী দল একত্রে মোর্চা করে আন্দোলনে নামবে।
এদিকে প্রধান বিরোধী দলের ছাগল বিষয়ক উপদেষ্টা মরহুম ছাগল-উদ্দিন বিন-বকরি বলেছিলেন, তোমরা ছাগলের জন্য লড়, ছাগল বাঁচলে আমরা ক্ষমতায় আসবো। কিন্তু গত এক দশক তোমরা ছাগলের খোঁজ রাখো নাই!
এতো কিছুর পর বাংলার একমাত্র পাঠকপ্রিয় ষোল্ল কোটি ছাগলের আয়না বোকাবিডি শুরু করেছেন সরেজমিন তদন্ত।
বোকাবেদক স্বপ্রণোদিত হয়ে স্থানীয় থানার ওসির সাথে কথা বলে। ওসির বরাত দিয়ে বোকাবেদক জানতে পারে, পলাতক ছাগল একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সে ছাগলনাইয়ার কিশোরী বকরি গ্যাং চালাতো। তার নামে অসংখ্য ছাগটিজিংয়ের মামলা চলমান। এলাকায় এই ছাগলকে নিয়ে চলছে ব্যাপক অসন্তোষ।
আর এসবই ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পেরেছে ছাগলনাইয়ার প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিগুর পুলিশ। ইন্ডিগুর পুলিশ ছাগলনাইয়াকে শায়েস্তা করতে ওই ছাগলকে ৫ স্তরের সুরক্ষা দিয়ে রেখেছে। এই নিয়ে চলছে কূটনৈতিক লড়াই। আম্রিকা ছাগলনাইয়াকে ধৈর্য ধইরে থাকতে কইছে। আর রাশিয়া কিছু বলছে না দেখে চীন অবাক!
এদিকে ছাগলকে ধরতে না পারায় পুলিশ আসামিপ্রাপ্ত সাজাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছে।
জানাগেছে, ওই ছাগল যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেটিই এলাকার কেউ জানতো না। তাই মানুষজন বলাবলি করছে পুলিশ অন্তত সাজার বিষয়টি বলতে পারায় মানুষেরা সাজাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বাতাসা বিলিয়েছে।
সাজা গ্রেপ্তার করবার মাধ্যমে দেশে এক নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। পুলিশের উপর বেড়েছে দেশের মানুষের আস্থা।