স্বীকৃতিচোদা কে বা কারা?

স্বীকৃতিচোদা!

Spread the love
Reading Time: 14 minutes

এ যাবৎ যতো ইজমগিরি চোদানো হয়েছে- হাসি, কান্না, ক্ষুধা আর চোদা- এই হলো সেসব ইজমের উপ্রে মুতে দেওয়ার একমাত্র ল্যাংগুয়েজ। যে যতো বড় বোকাচোদা আর চালাকচোদাই হওনা কেন এই ল্যাংগুয়েজ বুঝতে তোমার অসুবিধা হয় না। যদি হয় তোমারে মানিব্যাক উইথ চুদে দিবো! তো এই ইজম চোদনাদের নিয়ে আমার লেখার কোনো মনোবাসনা নেই, কিন্তু ইজমচোদনাদের উপ্রে ইদানিং আরেক চোদনার আবির্ভাব হয়েছে, তাদের নিয়েই এই পোস্টে যৎসামান্য গুণগান করবো। তো, নতুন পয়দা হওয়া এরা কারা? এরা হলো, স্বীকৃতিচোদা!

এক সাইকো এনালিস্টের চোদনের ফেরে পড়ে, দুনিয়ার আবাল বৃদ্ধ-বনিতা কী এক পরাবাস্তব চোদনের কুয়োর ভিতর আটকে আছে যে বাস্তবের ভলকানোও ওদের টেনে তুলতে পারছে না! তো এই পরাবাস্তব ব্যাপারটা কী? ধরেন, আপনার প্রিয়তমাকে এক কুকুরে চুদতেছে! এটা দেখে আপনি ভয়ঙ্কর আক্রোশে কুকুরকে মারতে গেলেন। কিন্তু, যতোবারই আপনি কুকুরকে মারছেন, ততোবারই কুকুরটা আরো জোরে আরো জোরে আপনার প্রিয়তমাকে চুদতে শুরু করে! কিছু করতে না পেরে আপনি চিৎকার করে নিজের বুকেই ছুরিটা বসিয়ে দিলেন! রক্তে চারপাশ ডুবে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো মানুষ আপনার ব্যথা টের পাচ্ছে না! এটাই হলো পরাবাস্তব।

এবার আসুন বাস্তবতায়। বাস্তবতা কী? বাস্তবতা হলো, আসলে আপনার প্রিয়তমাকে চুদতেছিল আপনারই খুব কাছের প্রিয় কেউ। এটা দেখে আপনাকে মুখ লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। কারণ আপনি টের পেয়েছিলেন, আপনার প্রিয়তমা সেই চোদনে পুলকিত ছিল, আনন্দ পেয়েছে! আর আপনার রা-টা করবারও কোনো উপায় ছিল না। যেহেতু আপনি ফইন্নি চোদা, ধার করে বেড়ানো বোকাচোদা, অন্যের বউয়ের দুধ হাতানো চালাকচোদা! এইটাই বাস্তবতা।

তো পরাবাস্তব এবং বাস্তবের মধ্যে একটা সরল রৈখিক মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা আমরা করতেই পারি। সাইকো এনালিসিস তো আর খামোখা ফ্রয়েড করেনি, একটা যৌক্তিক বিপ্লবের জন্যই করেছিলেন। সেই যৌক্তিক পথের সন্ধান আমি না পেলেও এই পরাবাস্তববাদীরা ঠিকই পেয়েছেন। তাই, তাদের প্রিয়তমাকে ক্ষমতাবান বন্ধু চুদে দিলেও তাদের কাছে বিষয়টাকে সহজ করবার একমাত্র উপায় কুকুর দিয়ে চোদানোর চিন্তাকে মনের মধ্যে নিয়ে আসা।

একটা সময় পর্যন্ত দাদাইজমকে আমি ব্যাটাগিরির মতো ব্যাখ্যা করতাম। কারণ কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে সামনের দিকে ছুটে চলবার মধ্যে এই ইজমের একটা আস্পর্ধা দেখা যেতো। কিন্তু এর পরেই সকল অভিব্যক্তির রাশ টেনে ওরাই যখন মেনে নেয়ার নানাবিধ ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে তখন আমি আর কে? বরং আমি তো একটা গ্যাংয়ের অংশ মাত্র। তাই আমাকে নমনীয় হতে হয়েছে। আমার ব্যাথ্যাকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে হয়েছে। অথচ আমার পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা, সেই ক্ষুধার বেদনাভার নিয়ে মানব শিশুকে যুদ্ধের ময়দানে দাঁড় করিয়ে দিয়ে আমি বোকাচোদা যুদ্ধের সমীকরণ মেলাবার চেষ্টা করেছি, ইজম চুদিয়ে।

একটা গল্প বলি। হাসি না পাইলে সময় ফেরত দিবো। দুই মাইগ্যা বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে গল্প করছে। এমন সময় এক বোকাচোদা সেখানে এলো। বললো, আরে দুই পেয়ারের দোস্ত দেখি এক লগে! দুই মাইগ্যা এই কথা শুনে দাঁত বের করে হাসতে থাকলো। তাদের হাসির বিষয় আসলে অন্য কিছু। বোকাচোদা এইটা ধরতে পেরে বললো, আচ্ছা তোমরা কি নিয়ে হাসছো? ওরা কিছু বললো না। এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বিভিন্ন কথায় ঘায়েল করতে লাগলো। একজন বললো, তোমার সোনা তো ব্যাঁকা। আরেকজন বললো, আর তোমারটা তো, গোড়া চিকনা। এইসব শুইনা বোকাচোদা কইলো, তাইলে এক কাজ করো…। বোকাচোদার কথা শেষ হওয়ার আগেই দুই মাইগ্যা একলগে জানতে চাইলো, কী? বোকাচোদা কইলো, যেহেতু তোমরা দুই বন্ধু একে অপরের সব কিছু জানো, একে অপরের সাথে সব কিছু করতে পারো, তোমরা এক বন্ধু আরেক বন্ধুর পুটিকে মেরে দাও!

পুটকির কথা আনছি একটা বিশেষ কারণে। আমার এই লেখার টাইটেলের সাথে পুটকির একটা সঙ্গতি আছে। পুরো লেখাটা আসলে এই পুটকি কেন্দ্রিকই। কারণ যতো ইজমের কথা হইছে, শেষমেশ ব্যাথাটা আমার পুটকিতেই হইছে বেশি। লিখতে যায়া পুটকিতে পাইলস বানায়া ফেলছি। পুটকিতে ব্যাথা না থাকলে কেউ স্বীকৃতিচোদা শব্দ ব্যবহার করে?

তো এই স্বীকৃতিচোদা কারা?

এই ব্যাপারে লিও তলস্তয়ের একটা বাণী ঝেড়ে দিচ্ছি,

“সকলেই বিশ্বকে বদলে দেয়ার চিন্তা করে, কিন্তু নিজেকে বদলানোর চেষ্টাটা কেউ করে না।”

তো এই না করাদের দলে কারা কারা আছে? এই না করাদের দলে আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবে আছে। কারণ বিশ্বকে বদলে দেয়ার মতো এদের ওইরকম কোনো চিন্তাই নাই। তলস্তয় আসলে ভুল কথা বলেছেন। নিজের বা নিজের মতো অন্যদের পার্সেপশনকে সবার উপ্রে চাপায় দেওনের চেষ্টা করেছেন। এইটার পক্ষে বোকার যুক্তি কী? আছে, যুক্তি আছে। যার শনের ঘর তার চিন্তা টিনের ঘরের। আর যার টিনের তার ইট পাথরের। যে ঘরে কুশ্রী বউ চোদে তার চিন্তা ব্যাশ্যা পাড়ায় সুশ্রী কচি মাগি চোদা। আর যার ব্যাশ্যা পাড়ায় যাওয়ার অভ্যাস তার নাটক-সিনেমার নায়িকা চোদার খায়েশ। তো এই বোকাচোদারা বিশ্বকে বদলে দেয়ার চিন্তা করে, এইটা খুবই বেমানান। তাহলে বোকার যুক্তি অনুযায়ী বাদ থাকলো কারা?

কারা বাদ রইলো সেইখানে একটু বাদে আসি। এই ব্যাপারে অ্যাডলফ হিটলারকে স্মরণ করছি। এই গণশত্রু তার জীবদ্দশায় একটা দারুণ কথা বলে গেছে।

”একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও।

মিথ্যার বেসাতি ছড়ানো এই জাদুকরদের আমরা হরহামেশায় দেখি। কথায়, কাজে, সম্বন্ধে, ব্যবহারে এদের জুড়িমেলা ভার! এরা যা করে কিংবা যা করবে তার একটা প্রি-প্লান থাকে। নব্য প্রোডাক্ট কালচারে এরা কথাকেও বেচে দিতে জানে। মূলত এরা দালাল। কিন্তু এরা আসলে কিসের দালালি করে?

কিসের দালালি করে, এইটা জানবার আগে এই দালালদের একটা রূপ দেখা নেয়া অত্যাবশ্যকীয়। মার্ক টোয়েন-এর কথার রেশ ধরে এদের সামনে আনা যেতে পারে। টোয়েন সফল হওয়ার একটা উপায় বাতলে দিয়েছেন।

”জীবনে সফল হতে দুটি জিনিস প্রয়োজন- জেদ আর আত্মবিশ্বাস!”

তো টোয়েনের কথামতো যারা জেদ আর আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে অন্যের পুটকি মেরে যাচ্ছেন অর্থাৎ জীবনে সফল হতে যাচ্ছেন তাদের মোটমাট সংখ্যাটা সামনে আনলেই আমরা দালালদের স্বরূপ উন্মোচন করতে পারবো। দালালদের সংখ্যা বেশি হয় না। ধরেন আপনি মাগিপাড়ায় মাগি চুদতে গেছেন। দেখবেন একটা ঘরে ৩০টা (কম বেশিও হতে পারে) মাগি আর দালাল মাত্র একটা! দালালের কোনো জাত-পাত হয় না। দালাল খুব উন্নতমানের নীচু কীট হয়। এরা পৃথিবীর সবথেকে সক্রিয় জীব। এদের কর্মদৌড় যে কোনো বিজ্ঞান যে কোনো গণিতকে হারাবে। মজার ব্যাপার হলো, দালাল উৎপাদনের জন্যও এক ধরনের দালাল আছে। একটা উদাহরণ না দিলে বুঝতে পারবেন না। ওই তো আপনার দিকে আঙুল তুলে তাকিয়ে একটা বিশেষ হাসি দিয়ে বলছে- ‘তুমিও জিতবে’! কার কথা বলছি ধরে ফেলেছেন নিশ্চয়? শিব খেরা’র কথা বলছি। তোমাকে জেতানোর জন্য যতো প্রকারে চোদা খাইতে হবে কিংবা চুদতে হবে সেসব কৌশল নিয়ে একটা বই-ই লিখে ফেলেছে ব্যাটায়। এখন প্রশ্ন হলো- তুমি আসলে কিসে জিততে চাও? কার বিরুদ্ধে জিততে চাও? কিংবা, তুমি আসলে কেন জিততে চাও? কে তোমাকে পরাজিত করেছে? কেন তোমার মনে হচ্ছে তুমি পরাজিত? এই প্রশ্নগেুলোর উত্তর চাই!

কখনো কি ভেবেছো, এই ভোগবাদী সমাজ আমাকে প্রতিনিয়তি প্রয়োজন নাম দিয়ে একটা ফর্দ চাপিয়ে দিচ্ছে? কারা এই ফর্দ বানাচ্ছে? কারাই বা চাপিয়ে দিচ্ছে? কোনটা আমার প্রয়োজন কোনটা না, তাই বা কে নির্ধারণ করছে? এসবের কোনো উত্তর আমরা জানতে চাই না। আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে ওমুক কোম্পানির লবণ, তেল, চিনি, ডাল, চালসহ নানা কিছূ কিনতে। আমাকে বাধ্য করছে পানি কিনে খেতে। আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে কনডম দিয়ে বউ লাগাতে। আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে লাগানোর আদি কৌশল পর্ন দেখে শিখতে। যা আমার সহজাত তা আমাকে শিখতে হচ্ছে কোম্পানি নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য গুণ থেকে। ফলে আমি একটা রেইসের মধ্যে পড়ে গেছি। এই রেইসে আমাকে বেটারটা নেয়ার জন্য ওরাই আবার কৌশলও শিখিয়ে দিচ্ছে। ফলে, আমি বোকাচোদা আসলে ক্রীড়ানক হয়ে দৌড়াচ্ছি। গুষ্টিসুদ্ধ আমাকে এই দৌড়ে জেতার জন্য লড়ছে।

তাহলে আমি কি আসলে আমার বিরুদ্ধেই লড়ছি?

এই প্রশ্নের উত্তর বোকা দিবে না। বোকার এতো চোদার টাইম নাই! বোকা ওই স্বীকৃতিচোদাতেই ফেরত আসবে। তাহলে কারা এই স্বীকৃতিচোদা? এইটা অনুধাবন করা যাচ্ছে, জেতার রেইসে যারা আছে ওরা প্রকৃত দালাল। কিন্তু সব দালালই কি স্বীকৃতিচোদা? না। কিন্তু এইটা স্পষ্ট দালাল শ্রেণিয় লোকলস্করই আসলে স্বীকৃতিচোদা।

স্বীকৃতিচোদাদের নমুনাটা দেখাই। ধরেন আপনি চলমান একটা মুভমেন্ট ব্যাপক রূপ নিয়েছে বলে বুঝতে পারছেন। আপনার মনেও মুভমেন্ট নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আবার আপনি জেতার রেইসেও আছেন। তাই এই মুভমেন্টকে আপনি উপায় হিসাবে বেচে দিতে পারেন। আপনি মুভমেন্টে অংশ নিন। এক্টিভিস্টদের সাথে কথা বলুন, ওদের সেন্টিমেন্ট কাজে লাগান। আপনি কেন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেটি খুলে বলুন। একটু কান্নাকাটি করুন। সোসাইটির মনটা পেয়ে যাওয়ার পর আপনার ইন্টেলেকচুয়াল (চোদানির) অবয়ব তৈরি করুন। পরিচিত চালাকচোদা সাংবাদিক বন্ধুদের ডাকুন। সবচেয়ে নিম্নমানের পোর্টালে হলেও নিজের সাক্ষাৎকার ছাপানোর ব্যবস্থা নিন। নিজেই নিজের ছবি তুলিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করবার ব্যবস্থা করুন। তবে, হ্যাঁ আপনি নারী হলে এইক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন। এবং আপনি বিশ্ব চোদালয়ের শিক্ষক হলে আরো ১০ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন। এইবার আপনি সাংস্কৃতিক কর্মী হলে আরো ৫ শতাংশ এগিয়ে থাকবেন। এইবার দেখুন খেলা, আপনার পাশে এসে কতো প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে গেছে। সরকারের লোক লস্করও দেখবেন আপনারে নজরে নজরে রাখতেছে। কিন্তু আপনি যে একটা বোকাচোদা ফাঁকা মাথার দালাল এইটা বুঝতে আপনার সমগোত্রীয়দের এতোটুকু বেগ পেতে হবে না। এইবার দেখবেন খেলা, আপনার স্বীকৃতি মিলে যাবে। সহেজে আপনার আরাধ্য দালাল হওয়ার চেষ্টাটা অভিনব রঙঢঙ নিয়ে বিশেষ কিছু হয়ে উঠবে। বোকাচোদা সোসাইটি আপনাকে বাহবা দিবে, চুমাচাট্টিও খাইতে পারে। আপনার নামের পাশে কতো বিশেষ্য বিশেষণ যুক্ত হয়ে যাবে।

আর বোকার কাছে আপনি আজীবন স্বীকৃতিচোদা দালাল হিসাবেই পরিচিতি পাবেন।

***পুনঃশ্চ স্বীকৃতিচোদা লেখাটি আরো নানাভাবে সম্পাদিত হবে। আরো বিস্তর প্যারা যুক্ত হবে। কারো কোনো অভিমত যুক্ত করবার মনোবাসনা জাগলে সরাসরি কমেন্টে লিখে দিন। লেখার সাথে সংগতিপূর্ণ অনুধাবন হলে যুক্ত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *