ছাগলের হিসু

এক ছাগল তার জানের জান দোস্ত শিয়ালের বাড়ি গেল। শিয়াল আবার ওই জঙ্গলের একমাত্র বৈদ্য। ছাগলেরও আবার কদিন ধরে নানাবিধ বেরাম। এতো বেরাম নিয়ে ছাগল অতিষ্ঠ। হিসু করতে গেলেই তার পা ভিজে যাচ্ছে। এই বেরাম কিছুতেই আর সহ্য করতে পারছে না। শেষমেস ছাগল তার দোস্ত শিয়ালকে সব কথা খুলে বললো।

ছাগলের কষ্টে শিয়ালের খুব কান্না পেল। সে বনের নানা ধরনের লতাপাতার পিণ্ড দিয়ে চারটা বড়ি বানিয়ে ছাগলকে দিলো। আর বললো- শোন দোস্ত এই বড়িটা তুমি একটা একটা করে আগামী চারদিন খাবে।

ছাগল বড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরলো। রাতে তার খুব ভালো ঘুম হলো। ঘুমে সে স্বপ্ন দেখলো- চারটা বড়ি একবারে খেয়ে ফেললেই তো হয়ে যায়। এতো অপেক্ষা করার কী আছে।

ছাগল বলে কথা! ছাগলের কাজ ছাগল করবেই। তাই সে সকালে উঠে চারটা বড়ি একবারেই সাবাড় করে দিল। এরপর ছাগল গেল হিসু করতে। ছাগল তো অবাক ওর বেরাম ভালো হয়ে গেছে! হিসুতে আর পা ভিজে যাচ্ছে না। কিন্তু ঘটলো অন্য ঘটনা। ছাগল আজ যতোবার হিসু করতে গেল ততোবারই তার হিসুতে দাড়ি ভিজে যেতে লাগলো।

ছাগাল পড়লো মহা ফাঁপড়ে। আগে ভিজতো পা এখন ভিজে দাড়ি। তাই সে আবার দৌড়ে গেল তার জানে জিগার দোস্ত শিয়ালের কাছে।

সব শুনে শিয়াল বললো- ছাগলের কাজ ছাগলে করেছে, চিন্তা করো না বন্ধু তোমাকে আরেকটা ওষুধ দিচ্ছি।

এই বলে শিয়াল আবার লতাপাতা দিয়ে নতুন একটা পিণ্ড বানিয়ে ছাগল কে দিয়ে বললো- দোস্ত তুমি যেখানে হিসু করো সেখানে এই পিণ্ডটা ঝুলিয়ে এর দিকে তাকিয়ে থাকবে। আর হিসু করবে।

সেদিন রাতেও ছাগলের আবার ভালো ঘুম হলো। সকালে উঠে সে বড়ি পিণ্ডটা একটা বাঁশের আড়ে ঝুলিয়ে দিলো। তারপর উপরের দিকে তাকিয়ে হিসু করতে লাগলো। ছাগল তো ছাগলই। ছাগলের কাজ ছাগল করেছে। উপরের দিকে তাকিয়ে হিসু করতে গিয়ে ছাগলের পিছনের দুই পা ফাঁকা হয়ে গেল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top