মা চিৎকার জুড়ে দিয়েছে… দুর্বার ঠোঁট চেপে ধরে, চোখ বড় বড় করে বলল, নো, মম!

কিন্তু চোয়ালের একপাশে তখনো রয়ে গেছে মিহি দানার চিনি চিবানোর চিহ্ন! আর একটা ভাঙা ক্যান্ডির ছিটে অংশ!

মা কাছে এগিয়ে আবারও চিৎকার করে বলে- দুর্বার ব্যাক করে।
মা চোখ সরু করলো।
দুর্বার হাসির চেষ্টা করলো।

মা এইবার একটু হেসে- মিথ্যে বলছো?
না, মা!
তোমার মুখে চিনি নেই?
না, মা!

তখন মা বললো, তাহলে তোমার পকেট থেকে ঝুনঝুনির আওয়াজ আসছে কেন?

দুর্বার চুপ। হঠাৎ বলল, ওটা মোবাইলের রিংটোন, মা!
মা চুপ করে পকেট হাতড়ালো। দুর্বার ব্যাক করতেই একটা মিন্ট চকলেট লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ল।

মা তাকিয়ে রইলো। দুর্বার মাথা নিচু করলো। তারপর একটু কাঁপা গলায় বললো—
সরি মা… মিথ্যে বলাটা… পাপ, আমি জানি।

মা কিছু বললো না।
একটু পর চুপচাপ এক টুকরো ক্যান্ডি হাতে ধরিয়ে দিলো।

বললো, সত্যি বললে চিনি লুকিয়ে খেতে হয় না, দুর্বার।
তোমাকে দিয়ে দিব, ঠিকমতো বললে।

এরপর দুর্বার সেই দিন থেকে ‘সুগার স্মার্ট’ হয়ে গেল।
চিনি খেলেও বলতো— হ্যাঁ মা, খেলাম। কিন্তু শুধু এক চিমটি!

 😇

তবু মা জানতো, আসলে দুর্বার চিনি খেয়েছে তিন চিমটি।

তবে একটাই পার্থক্য—
এখন দুর্বার আর বলে না- ইটিং সুগার? নো পাপা!

সে বলে- ইয়েস পাপা, কিন্তু লাস্ট টাইম!

 😁

Scroll to Top