উমাইল্ল্যা আর নাইল্ল্যাকাডা দুই জিগরির দোস্ত। দুইজন মিলে ঢাকার রাজাবাজারে একটা ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিছে। দুইটা রুম, রুমের সাথে এটাচ বাথরুম, লাগোয়া বারান্দা আর আছে বিশাল এক ড্রয়িংরুম। সবই ঠিক ছিল। বাড়িওয়ালা একটু কৃপণ আরকি- এই যা সমস্যা।

সকালে পানির পাম্পা ছাড়লে দুপুরে ছাড়ে না, দুপুরে ছাড়লে বিকালে ছাড়ে না। আবার বিকালে ছাড়লে রাতে ছাড়ে না। যেহেতু পানির আসা যাওয়ার ঠিক নাই- তাই দুই বন্ধু যখনই বাথরুমে ঢুকে তখন একজন আরেকজনরে বলে ঢুকে।
তো আইজ উমাইল্ল্যার এমন চাপ আসলে যে সে দিগবিদিক ছুটলো। নাইল্ল্যাকাডারে কিছু না কইয়াই গিয়া ঢুকলো বাথরুমে।
মনে মনে কইলো আহা ত্যাগেই সুখ।
উমাইল্ল্যার আবার বাথরুমে বইসা থাওনের রোগ আছে। একবার ঢুকলে এক দেড় ঘণ্টার আগে বের হওয়ার নাম থাকে না। বাথরুমে বইসা একটা সিনেমা দেইখা ফেলানো, কিংবা লাইভ রেডিও শোনা উমাইল্ল্যার নেশা হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে বোরকা পড়া সেই মেয়েটি, রহম আলী তিন কন্যা, বিউটি ভাবীর সংসার এইসব বইটইও নিয়ে ঢুকে পড়ে।
কিছুক্ষণ হাইগা উমাইল্ল্যা আজ চিন্তা করলো- এফএমের লা্ইভ অনুষ্ঠানটা শুনবে। মহানন্দে রেডিও শুনছে। এর মধ্যে ওর হাগা শেষ। এখন শৌঁচকর্ম, কল ছাড়তেই ওর বিচি কান্ধে উইঠা পড়ছে। কলে তো পানি নাই। নাইল্ল্যাকাডারেও বইলা আসে নাই। নাইল্ল্যাকাডারে যতো কলই সে দেয় নাইল্ল্যাকাডা কল ধরে না।
নাইল্ল্যাকাডা সব সময় ফোন সাইলেন্ট রাখে। এখন কী করে এখন কী করে ভাবতে উমাইল্ল্যা কল দিলো রেডিও লাইভ অনুষ্ঠান। লাইভ শো তখনও চলছিল।
উমাইল্ল্যা – হ্যালো, হ্যালো, রেডিও ভরপুর?
জকি – ডিয়ার লিসেনার, এটা আপনার প্রিয় এফএম ভরপুর।
উমাইল্ল্যা – হ্যালো, হ্যালো, রেডিও ভরপুর? আমাকে কি শোনা যাচ্ছে?
জকি – ডিয়ার লিসেনার আপনাকে আমরা শুনতে পারছি। আপনার নামটা বলুন।
উমাইল্ল্যা- আমার নাম উমাইল্ল্যা
জকি – আপনি কোথা থেকে কল দিয়েছেন?
উমাইল্ল্যা – ঢাকা, রাজাবাজার কাকভিলা থেকে
জকি – অনেক ধন্যবাদ। জ্বী আপনি এবার বলুন কী বলতে চান- আমরা এখন লাইভে আছি। চাইলে আপনি আপনার প্রিয় মানুষকেও কিছু বলতে পারেন।
উমাইল্ল্যা – লাইভে আছেন- তাইলে কি পাশের রুমের নাইল্ল্যাকাডা আমার বন্ধু আমারে শুনতে পারছে?
জকি – অবশ্যই শুনতে পারছে।
উমাইল্ল্যা – দোস্ত বাথরুমের পানি শেষ। টিস্যুও শেষ। আমি আটকা পড়ছি। তাড়াতাড়ি একটু পানি আর টিস্যু নিয়ে আয়। জলদি আমারে উদ্ধার কর।