‘বছর কুড়ি পরে’ শীত সংখ্যায় লেখা আহ্বান

বছর কুড়ি পরে

শরৎ পেরিয়ে হেমন্তের আগমন— যেন সময়ের ক্যালেন্ডারে কবিতার এক নরম রূপান্তর। হেমন্তের এই সোনালি নিস্তব্ধতায় আবারও ফিরে আসছে বোকার সৃজনমুখর আয়োজন। ‘শরৎ উৎসব ২০২৫’-এর অবিশ্বাস্য সাড়া ও পাঠকপ্রিয়তার পর, বোকা এবার ঘোষণা দিয়েছে তাদের বিশেষ শীতসংখ্যা— বছর কুড়ি পরে”

এই নামেই লুকিয়ে আছে এক অনন্ত সময়-প্রশ্ন:
আমরা কেমন ছিলাম, কেমন হয়েছি, আর কেমন হতে পারতাম?

“শীত নামবে নীরব নক্ষত্রের মতো— বিজয়ের উষ্ণতা ছুঁয়ে যাবে হিমেল বাতাসে। চারদিকে যুদ্ধ, ভাঙন, মানবিক ক্লান্তি— তবু শব্দের আশ্রয়ে আমরা খুঁজবো পুনর্জন্মের আলো, মনের গভীরে জমে থাকা এক নতুন পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি। ‘বছর কুড়ি পরে’—এক অনন্ত প্রশ্ন, যেখানে সময় থমকে দাঁড়ায় মানুষের মুখে, কবিতার নিঃশ্বাসে, আর শব্দের ভিতর জন্ম নেয় এক দ্রোহের বিপ্লব।”
মেহেদী স্বাধীন

এই আহ্বান যেন সময়ের বুক থেকে ওঠা এক মৃদু বিদ্রোহ। যেখানে শব্দের ভেতর জেগে ওঠে মানুষের মুখ, কল্পনার আগুন, আর নতুন পৃথিবীর আলো।

লেখক পাঠক সমীপে

বোকা সবসময় বিশ্বাস করে— শব্দই মানুষের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ।”
যেমন নেরুদা লিখেছিলেন, “You can cut all the flowers but you cannot keep spring from coming.”
যুদ্ধ, শীতলতা বা বিভক্ত সময়— কোনো কিছুই কবিতার অঙ্কুরকে থামাতে পারে না।

তাই এই সংখ্যায় আহ্বান জানানো হচ্ছে এমন সব কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, সাহিত্য সমালোচনা সৃষ্টিশীল লেখা, যেগুলোর ভেতর থাকবে চিন্তার গভীরতা, ভাষার সৌন্দর্য, আর ভবিষ্যৎকে দেখার অনন্য দৃষ্টি।

আপনার লেখা হয়তো খুলে দিতে পারে সময়ের জানালা— যেখানে পাঠক দেখবে নিজের প্রতিচ্ছবি:
হারিয়ে যাওয়া শৈশব, ক্লান্ত সমাজ, কিংবা পুনর্জন্মের আলোয় ভেসে থাকা মানবতার প্রতিশ্রুতি।

লেখা পাঠানোর নিয়ম

  • ইমেইল: write@bokabd.com
  • শেষ সময়: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংযুক্ত করুন: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ছবি ও যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত করবার বিশেষ অনুরোধ থাকছে।

কবিতা মানেই আত্মার প্রতিবাদ”— যেমন লিখেছিলেন জীবনানন্দ দাশ।
তেমনি বোকা আহ্বান জানাচ্ছে আপনাকে— সময়ের এই অস্থির মুহূর্তে নিজের সত্তাকে প্রকাশ করতে, কলমের ডগায় লিখে ফেলতে অজস্র অনুচ্চারিত সত্য।

চিন্তার স্ফোরণ: শব্দের ভেতর এক বিপ্লব

বোকা শুধু একটি সাহিত্যপত্র নয়— এটি এক চিন্তার আন্দোলন, এক মেধার বিপ্লব।
‘বছর কুড়ি পরে’ সংখ্যাটি সেই আন্দোলনেরই পরবর্তী অধ্যায়— যেখানে অতীতের স্মৃতি মিশে যায় ভবিষ্যতের স্বপ্নে।

টিএস এলিয়ট একবার লিখেছিলেন—
“Time present and time past
Are both perhaps present in time future.”

এই সংখ্যার ভেতর সেই সময়ের সংলাপই প্রতিফলিত হবে—
যেখানে পুরোনো প্রজন্মের স্বপ্ন মিশে যাবে নতুন প্রজন্মের উচ্চারণে।
যেখানে শব্দের ভেতর জন্ম নেবে এক নতুন মানবতা।

এক মিলনে মেলা

বোকা সম্পাদক জানিয়েছেন—

“বছর কুড়ি পরে” বিশেষ সংখ্যাটি হয়ে উঠবে এক মিলনে মেলা।
যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষী কবি-সাহিত্যিকরা তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে যুক্ত হবেন এক মানবিক বন্ধনে।
সংখ্যাটি হয়ে উঠবে সময়ের দলিল, চিন্তার উৎসব, এবং ভাষার উৎসার।

এই সংখ্যায় থাকবে বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রবাসের কবিদের স্বর, থাকবে যুদ্ধ-বিক্ষত ইউরোপের কবিতার মায়া, লাতিন আমেরিকার প্রতিবাদী ছন্দ, আর বাংলার মাটির গন্ধে লেখা জীবনের গল্প। (সম্পাদক আশা করছেন।)

শব্দের পুনর্জন্ম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন—
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।”
বোকা সেই একলা চলার সাহসেরই প্রতীক— যেখানে একেকটি লেখা হয়ে ওঠে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, ও পুনর্জন্মের বীজ।

যেমন সিলভিয়া প্লাথ বলেছিলেন,
“I am still making order out of chaos, by poems.”
তেমনি আমরাও লিখবো, কারণ লেখা মানেই বেঁচে থাকা— এক উত্তপ্ত সময়েও মানবতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।

তাহলে প্রস্তুত তো?
কলম ধরুন, মনের জানালা খুলুন, আর পাঠিয়ে দিন আপনার লেখা—
কারণ বছর কুড়ি পরে” হতে পারে সেই সংখ্যাটি, যেখানে আপনার শব্দ হয়ে উঠবে সময়ের সাক্ষ্য,
এক নতুন মানবতার কণ্ঠস্বর, আর এক পুনর্জন্মের প্রতীক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top