Table of Contents
Toggleকিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!
কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
ঠিক সন্ধ্যায় সে খবর আসলো বোকার কাছে! বোকা তো অতো জেনেবুঝে আয়োজন করে কাঁদে না। বোকা কাঁদে চুপে চুপে অশ্রুসজল হয়ে। বোকা কাঁদতে কাঁদতে গায়- কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!
আনন্দবাজার খবরে জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি অসুস্থতার কারণে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শৌচাগারে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন।
আর এরপর থেকেই তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রে সমস্যার কথাও তখন জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ। বাবার থেকেই গানের তালিম গ্রহণ করেন সন্ধ্যা। ভক্তি গানে ছিল বিশেষ দক্ষতা।
প্রথাগত তালিম ছাড়াই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মা হেমপ্রভা দেবীও গান গাইতেন। গানের সাথে বেড়ে ওঠা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় যেন সংগীতের সাথে একাত্মা। মাত্র ১২ বছর বয়সে অল বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্সের সংগীত প্রতিযোগিতায় (ভজন বিভাগ) প্রথম হন। সেই শুরু, তারপর থেকে বাংলা গানের বিভিন্ন ধারায় মন মাতান তিনি। পেশাদারী সংগীত জীবনের শুরুতেই মুম্বইয়ে পাডড়ি দেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
গেয়েছিলেন ‘তারানা’ সিনেমায়। পরবর্তী একাধিক হিন্দি সিনেমায় গান গেয়েছেন। ১৯৭১ সালে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। বাঙালির মননে এক অনন্য স্থান দখল করে নেন সন্ধ্যা। বাঙালির সুরে নেমে আসে এক ঘন সন্ধ্যার রাঙানো রঙিন আবির। তাঁর গলায় ‘এই পথ যদি না শেষ হয়….’, ‘ঘুম ঘুম চাঁদ…’, ‘আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি…’, ‘চন্দন পালঙ্কে শুয়ে…’র মতো গান আজও বাঙালির মননে অমলিন।
কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!
বাংলাদেশের সাথে এক দারুণ ইতিহাস জড়িত এই প্রবাদ প্রতীম মানুষের। বাংলাদেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ চলে। ১৯৭১ সাল। কোটি উদ্বাস্ত ভীড় করেছে ভারতে। খাবার নেই থাকার জায়গা নেই। বাচ্চা কানছে, মায়েরা শূন্য দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে আছে শূন্যে। দারুণভাবে আক্রান্ত হন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। মানবিক হাহাকার চারদিকে। তাই উদ্বাস্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহে যোগ দেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি উপলক্ষে তিনি গেয়েছেন বিখ্যাত ‘বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে’ গানটি। তাছাড়া স্বাধীনতার পর প্রথম একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পল্টনে আয়োজিত এক উন্মুক্ত কনসার্টে গান গেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়
তুমি আজ ঘরে ঘরে এতো খুশী তাই
কি ভালো তোমাকে বাসি আমরা
বলো কি করে বোঝাই ৷৷
এদেশেকে বলো তুমি বলো কেনো এতো ভালোবাসলে
সাত কোটি মানুষের হৃদয়ের এতো কাছে কেনো আসলে
এমন আপন আজ বাংলায় তুমি ছাড়া আর কেউ নেই
বলো কি করে বোঝাই ৷৷
সারাটা জীবন তুমি নিজে শুধু জেলে জেলে থাকলে
আর তব স্বপ্নের সুখী আজ বাংলার ছবি শুধু আঁকলে ?
তোমার নিজের সুখ সম্ভার কিছু আর দেখলে না তাই
বলো কি করে বোঝাই ৷৷
পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান!
২০১১ সালে ভারতরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘বঙ্গভূষণ’ এ ভূষিত করে।
পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ (সাউন্ড অফ মিউজিকের বাংলা রিমেক) এবং ‘নিশি পদ্মা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা নারী প্লেব্যাক গায়িকার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
৯০ বছর বয়সী এই শিল্পীর নামের সাথেই আছে গীতশ্রী শব্দটি। কারণ গীতের সাথে তার নিত্য বসবাস। শুধু তাই নয় সংগীত প্রতিযোগিতায় তিনি ‘গীতশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। যার কারণে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নামের সাথে ‘গীতশ্রী’ শব্দটি জুড়ে যায়।
তবে শিল্পী নিজে মোটেও পুরস্কারে কাঙাল ছিলেন না। তা তার প্রত্যাখ্যানের নমুনা দেখলেই জানা যায়।
We’ve been duped.
We were raised to think we could have it all. In college we were told that men weren’t necessary. Pop culture told us that career—not family—came first. The idea of being a stay-at-home mom was for losers. And yet are we happier than our mothers or grandmothers, who grew up before women were “liberated” by the sexual revolution? For many women, the answer is no. In The Politically Incorrect Guide™ to Women, Sex, and Feminism, Carrie Lukas, a young career woman and new mother, sets the record straight: correcting the lies women have been told and slamming the door on the screaming harpies of NOW, feminist professors, and the rest of the bra-burners who have done so much to wreck women’s lives.
Bet your feminist teacher never told you:
* Women’s lib has “liberated” men from having to commit, “freed” women from marriage, and often “unshackled” women from having a family. * More than ever, women in their twenties and thirties live alone, are discarded by boyfriends after “living together,” and are watching their biological clocks tick past the point of no return. * Women still prefer men who are breadwinners and can protect them physically.
কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!
গত ২৬ জানুয়ারি ভারত সরকার সর্বজন প্রিয় এই শিল্পীকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করে। গণমাধ্যমগুলোর খবরে তখন জানানো হয়, এই ঘোষণার ব্যাপারে ভারত সরকার একটি দাপ্তরিক নোটিশে পুরস্কারে ভূষিতদের তালিকা প্রকাশ করে। এবং পরে শিল্পীর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানিয়ে ফোন করা হয় দিল্লি থেকে। ফোনে তাকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এই কথা শোনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বিনয়ের সাথে জানান, পুরস্কারটি তার জন্য ‘অসম্মানজনক’।
তাই ফোনেই ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ পুরস্করা প্রত্যাখ্যান করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
কেঁদে কেঁদে জানালেন, বাংলাদেশ আমাকে আমার দেশের থেকে বেশি ভালোবাসে